গাজায় ইহুদি হামলায় একই পরিবারের ১৩ জন শহীদ
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ এএম

গাজায় অন্তবর্তীকালীন শান্তিচুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। তারা উলটো সব জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ সমাপ্তিতে সামগ্রিক একটি চুক্তির দাবি জানিয়েছে। এরসঙ্গে, ইসরাইলে বন্দি থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি চেয়েছে তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বার্তায় হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা খলিল আল-হায়া বলেছেন, এখন থেকে তারা আর কোনও অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তিতে সম্মত হবে না। হামাস বরং এখনই সামগ্রিক আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, গাজার পুনর্গঠন এবং ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের সব বন্দি বিনিময়। বিশ্লেষকদের ধারণা, হামাসের এসব দাবি ইসরাইলের পক্ষ থেকে মেনে নেয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত হতে পারে।
আল-হায়া বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রেখে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চান ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এসব আংশিক চুক্তিতে দিয়ে ইসরাইলি সরকার তাদের আসল উদ্দেশ্য আড়ালে রাখে। কিন্তু স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজের জিম্মিদেরও বলি দিতেও পিছপা হবে না তারা। আমরা তাদের এই খেলার অংশ হব না।
এদিকে, হামাসের দাবির সমালোচনা করে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জেমস হিউইট বলেছেন, হামাসের কথাবার্তায় এটা স্পষ্ট যে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের কোনও আগ্রহ নেই। তারা কেবল অনিঃশেষ নৃশংসতা জিইয়ে রাখতে আগ্রহী। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের শর্ত এখনও একই আছে- জিম্মিদের ছেড়ে না দিলে নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হবে।
প্রায় ১৫ মাস যুদ্ধ চলার পর গত জানুয়ারিতে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে এক সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে দুমাস যেতে না যেতেই তা ভেঙে পড়ে। এরপর থেকেই তা পুনরায় কার্যকর করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা। তবে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে সে চেষ্টায় তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি।
এদিকে, গাজায় দখলদার ইসরাইলের আগ্রাসন আরও ভয়াবহ ও মর্মান্তিক রূপ নিচ্ছে প্রতিদিন। গতকাল সকালে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি বোমা হামলায় একই পরিবারের ১৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ হামলা নতুন করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কী ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ পরিস্থিতিকে ইতোমধ্যেই ‘আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে ভয়ংকর মানবিক ব্যর্থতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
আল জাজিরা জানায়, এদিন সকালে খান ইউনিস শহরে একটি বাড়ির ওপর ইসরাইলি বিমান হামলায় একটি সম্পূর্ণ পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এছাড়া শুক্রবারের হামলায় আরও অন্তত ৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আশ্রয়প্রার্থী পরিবারগুলো যেখানে তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিল, সেখানেই হয়েছে হামলাÑযা সরাসরি মানবিক আইনের পরিপন্থী। সাহায্য সংস্থাগুলোর মতে, এই ইচ্ছাকৃত হামলা গাজাবাসীর নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানবাধিকারকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ মাসে অন্তত ৫১,০৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১,১৬,৫০৫ জন। তবে সরকারি মিডিয়া বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও হাজারো নিখোঁজ থাকায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। সূত্র : আল-জাজিরা, রয়টার্স।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া

গোয়ালন্দে ওভারলোড ট্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

শাহজালালের ৮ নম্বর ফটক দিয়ে বের হবেন খালেদা জিয়া

অবশেষে স্বতন্ত্র ১৫১৯ ইবতেদায়ি মাদরাসার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

শত্রুর যেকোনও আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রস্তুত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী : শেহবাজ

বিমানবন্দর থেকে যে পথে ফিরোজায় যাবেন খালেদা জিয়া

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিল শুনানি শুরু

সাবেক এমপি মিলনসহ আওয়ামী লীগের ৯ জন গ্রেফতার

খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে যেভাবে অবস্থান নিয়েছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন

সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় ফিরোজা

খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা

বেগম খালেদা জিয়ার দেশে আসা গনতন্ত্রের পথকে আরো সহজ করবেঃ মির্জা ফখরুল

বিমানবন্দর থেকে গুলশান: স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রাজপথ

ভারতে শিক্ষার্থীদের ভিসা অগ্রাধিকারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষণা

অপেক্ষায় ফিরোজা

খালেদা জিয়াকে আনতে ফিরোজা থেকে বিমানবন্দর গেল নতুন গাড়ি ‘টয়োটা ক্রাউন’

ইসরায়েলের সহায়তায় গাজায় লুটপাট, ধরা পড়লেই মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে হামাস

ইয়েমেনে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র

বিমানবন্দর থেকে পথে পথে জনতা